বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক আপদের ফলে সৃষ্ট বড় ধরনের দুর্যোগ পরিস্থির নিজস্ব অনেক ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এবং পরবর্তী বন্যায় তিন লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৯১ সালের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। ২০০৪ সালের বন্যায় দেশের প্রায় ৩৪ ভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে ৭৪৭ জনের মৃত্যু ঘটে এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে প্রায় ৪,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়। জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে ঝুঁকিহ্রাস পদ্ধতিতে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও এনজিও ইস্যু ভিত্তিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। আর সব উন্নয়ন সংগঠনের মতো, সুইস রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিও সময়ের দাবি মেটাতে বাংলাদেশের অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ সাধারণ জনগণের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন-ই তৎপরতা ও উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছে সফলতার সাথে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘‘ডিআরআর-ওয়াশ” প্রকল্প ভিলেজ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (ভিডিএমসি), ভিলেজ কমিউনিটি রিসোর্স পারসন (ভিসিআরপি), কমিউনিটি বেজ্ড হেল্থ কেয়ার (সিবিএইচসি) এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চর এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বা¯’্যসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে দক্ষতার সাথে।
কর্মসূচিকে বেগবান করে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘‘দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যব¯’াপনায় ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা” বিষয়ক মডিউল প্রণয়ন করা হয়। এই কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করবেন ইউনিয়ন পরিষদ, ভিডিএমসির সদস্য ও ভিসিআরপিবৃন্দ। অংশগ্রহণকারীগণ নিজনিজ সংগঠনকে শক্তিশালী করে চল এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক দুর্যোগ ব্যব¯’াপনা ও স্বা¯’্যগত অব¯’ার উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী
Description
Reviews (0)
Be the first to review “দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা” Cancel reply
Read Book
[dflip id=”15751″][/dflip]

Reviews
There are no reviews yet.